বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪  |   ৩৫ °সে

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:১৮

কুনিও হত্যা : ইছাহাকের খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন

কুনিও হত্যা : ইছাহাকের খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন
অনলাইন ডেস্ক

জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় জেএমবি সদস্য ইছাহাক আলীর খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) কুনিও হোশি হত্যা মামলায় চার জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইছাহাক আলীকে খালাস দেন উচ্চ আদালত।

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আলোচিত এ মামলায় জেএমবির পাঁচ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ শুনানি করেন। তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ মান্না, জাকির হোসেন মাসুদ ও নির্মল কুমার দাস। এ ছাড়া আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ ও মো. শামসুল ইসলাম। এদিকে পলাতক এক আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. হাফিজুর রহমান খান।

গত ৪ সেপ্টেম্বর কুনিও হোশি হত্যায় পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়।

২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় ৫ জঙ্গির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একজনকে খালাস দেওয়া হয়। রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেএমবি মাসুদ রানা ওরফে মামুন, ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া ওরফে রফিক, সাখাওয়াত হোসেন এবং আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব। তাদের মধ্যে আহসান উল্লাহ আনসারী পলাতক রয়েছেন।

হত‌্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় আবু সাঈদকে বিচারক খালাস দিয়েছেন।

এ মামলার অন্য ২ আসামি নজরুল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। তাদেরকে বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাকি ছয়জনের বিচার কাজ শুরু হয়।

সরকারপক্ষের আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক জানান, মামলায় ৬০ কর্মদিবসে ৫৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। একই সঙ্গে আসামিদের পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষ্য দেন। ২০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে কাউনিয়া উপজেলার নাছনিয়া বিল আলুটারী এলাকায় তার কোয়েল ঘাষের খামার বাড়িতে যাওয়ার পথে তাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় কাউনিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানাসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়