মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪  |   ৩০ °সে

প্রকাশ : ১২ মে ২০২২, ১৩:০৯

সয়াবিন তেলের দেখা নেই পাড়া-মহল্লায়

সয়াবিন তেলের দেখা নেই পাড়া-মহল্লায়
অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযানের পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সয়াবিন তেলের বাজার।

বড় কয়েকটি বাজারে সরবরাহ সামান্য বাড়লেও পাড়া-মহল্লার বাজারগুলোতে বোতলজাত সয়াবিনের দেখা নেই। সব দোকানে নেই খোলা সয়াবিনও। বিক্রেতারা বরাবরের মতোই বলছেন, সরবরাহ না থাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।

গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে এখনো সয়াবিন তেলের সংকট। বিক্রেতাদের অভিযোগ, সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও কোম্পানিগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধিরা আসছেন না।

ঢাকার নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, কোনো দোকানে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে না। অর্ণব সরকার নামে এক ক্রেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কোনো দোকানে সয়াবিন তেল বিক্রি করছে না। শুধু সূর্যমুখী তেল পাওয়া যায়। দামও অনেক বেশি। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে তো দামি তেল কেনা সম্ভব নয়। একটা দোকানে শুধু আধা লিটারের একটা সয়াবিনের বোতল পেয়েছি, তবে অন্য পণ্য না কিনলে তাও বিক্রি করবে না।’

এই বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কোম্পানির কাছে অগ্রিম টাকা দিয়েও তেল মিলছে না। কারওয়ান বাজার ঘুরে ৭০ লিটার তেল পেয়েছি। দোকানে আনার সঙ্গে সঙ্গে শেষ। আমরা তেল সাপ্লাই না পেলে কাস্টমারের কাছে কী করে বিক্রি করব।’

একই অবস্থা রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দোকানগুলোতে। দুয়েকটি বাদে বেশিরভাগ দোকানে সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছে। মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী সোলায়মান জানান, পাইকারি বাজারে যেসব সয়াবিন তেল পাওয়া যায় তা আগের দামের। ঈদের পর সয়াবিনের নতুন দাম নির্ধারণ হয়েছে। আগের দামের বোতল বিক্রি করতে গেলে ক্রেতাদের সঙ্গে ঝামেলা হয়। আবার ভোক্তার জরিমানা গুনতে হয়। তাই আপাতত তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিলার দেশ রূপান্তরকে বলেন, দেশের বাজারে অনেক ব্যবসায়ী আগেই সয়াবিন তেল মজুদ করে রেখেছেন। অন্যদিকে নতুন দাম নির্ধারণের পর কোম্পানি থেকে স্বাভাবিক সাপ্লাই শুরু করেনি। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভোজ্য তেলের বাজার কিছুটা স্বাভাবিক হবে।

ভোক্তার উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সারা দেশে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। এ দফায় দাম বাড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৬৯ লিটারের বেশি মজুদ করা সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছি। এসব তেল ইতিমধ্যে বিক্রিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সয়াবিন তেলের নতুন নির্ধারিত দামের বোতল মার্কেটে আসতে শুরু করেছে। আশা করি কয়েক দিনের মধ্যে ভোজ্য তেলের বাজার স্বাভাবিক হবে। এছাড়া আজ (বৃহস্পতিবার) ভোক্তা অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ভোজ্য তেলের মিলমালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় হবে। সেখান থেকে সংকট সমাধানের একটা পথ তৈরি হবে।’

সূত্র: দেশ রূপান্তর

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়