প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:২২
পাকিস্তানের আকাশে ভারতের ‘গুপ্তচর ড্রোন’

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছেই। পহেলগামে হামলার ঘটনার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। যুদ্ধের যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তা দিনদিন বাস্তবতার দিকে এগোচ্ছে। এমন অবস্থায় আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানে ঢুকে পড়ে ভারতের একটি কোয়াডকপ্টার (গুপ্তচর ড্রোন)।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পাকিস্তানি গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, কাশ্মীরে লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) বরাবর ভিম্বার জেলার মানাওয়ার সেক্টরে আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী একটি ভারতীয় কোয়াডকপ্টার ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কোয়াডকপ্টারটি নজরদারি চালানোর চেষ্টা করছিল। পাকিস্তানি সেনারা এটিকে বাধা দেয় এবং নামিয়ে আনে। সেনাবাহিনীর সময়োপযোগী পদক্ষেপ শত্রুর সীমান্ত পেরিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির ঘৃণ্য প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। সীমান্তে যেকোনো আগ্রাসনের দ্রুত জবাব দেওয়ার জন্য পাকিস্তান সেনারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
কোয়াডকপ্টার হচ্ছে একটি ধরনের ড্রোন। সামরিক ক্ষেত্রে কোয়াডকপ্টার প্রায়ই গোপন নজরদারি, সীমান্ত পর্যবেক্ষণ এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত হয়।
এর আগে, গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে পাকিস্তানিদের ফিরে যেতে বলা হয়েছে। সব ধরনের ভিসা বাতিল হয়েছে। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত।
পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে একই ধরনের পদক্ষেপ দিয়েছে পাকিস্তানও। সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতে ভারতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানের আকাশসীমা নিষিদ্ধ, সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
বিশ্লেষক এবং কূটনীতিকরা বলছেন, পাকিস্তান যে কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছে, তার জোরালো প্রমাণ এখনও দেখাতে পারেনি ভারত। এ অবস্থায় দিল্লি কোনো পদক্ষেপ নিলে বিশ্ব মঞ্চে তার ন্যায্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চমলান সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা যদি বাড়তে থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।