প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫, ২১:২৮
ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান

ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলজুড়ে বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তুকে উদ্দেশ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে দেশটি। ইরানের এই হামলারে মধ্যে জেরুজালেমে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
রোববার (২২ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি ভূখণ্ডের দিকে ইরান থেকে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র কিছুক্ষণ আগে শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইডিএফ।
হুমকি মোকাবিলায় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে এই বিবৃতিতে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনগণকে সুরক্ষিত একটি স্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে আইডিএফ।
এদিকে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে, এমন সতর্কবার্তার পরই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার ফলে জেরুজালেমে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সংবাদদাতা হুগো বাছেগা জেরুজালেম থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জর্ডানের আম্মানে আজ সকালে শহর জুড়ে দুইবার সাইরেন বেজে উঠেছে, যেটা ইঙ্গিত দেয় ইরানের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আম্মান থেকে বিবিসির সংবাদদাতা টম বেনেট এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে জেরুজালেম থেকে বিবিসির সংবাদদাতা একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন।
এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জর্ডানকে টার্গেট করে নয়। তবে জর্ডানের বিমান বাহিনী সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এই ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলো তাদের ভূখণ্ডে অবতরণ করতে পারে মনে করে এগুলোকে প্রতিহত করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে বাধা দেওয়া বা প্রতিহত করার ফলে আকাশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এই অঞ্চল জুড়ে বাতিল হওয়া ফ্লাইটের ঢেউয়ের পাশাপাশি পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে এই সংঘাত কিভাবে প্রভাবিত করছে এটি তার আরেকটি লক্ষণ।
এর আগে ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। রাতের আঁধারে দেশটির ফোর্দো, নাতাঞ্জ আর ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র এসব হামলা চালায়। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়েদ আব্বাস আরাগচি যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলাকে ‘গর্হিত’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “ইরান তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সব বিকল্প সংরক্ষণ করছে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ তিনি লিখেছেন, “আজ সকালের ঘটনাগুলো ভয়াবহ এবং এর পরিণতি চিরস্থায়ী হবে। জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্যকে এই অত্যন্ত বিপদজনক, আইনহীন এবং অপরাধমূলক আচরণের জন্য সতর্ক থাকতে হবে।”
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদের ‘গুরুতর লঙ্ঘন’ করেছে বলেও যোগ করেছেন আরাগচি।