প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪২
আশাহত গাজাবাসী, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে ‘প্রহসন’ বললেন তারা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েল এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি। এসময় নেতানিয়াহু যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন।
প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস যদি এতে রাজি হয় তাহলে তাদের রাজি হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ও মৃত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। এরপর গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়ে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে।
জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েল গাজা থেকে তার সৈন্যদের ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করে নেবে। তবে কতদিনে প্রত্যাহার করবে সেটি স্পষ্ট নয়।
ট্রাম্পের এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে প্রহসন হিসেবে উল্লেখ করেছেন গাজার সাধারণ মানুষ। তারা বলেছেন এই প্রস্তাবে যুদ্ধ বন্ধের কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। আর প্রস্তাবটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন হামাস এটি প্রত্যাখ্যান করে।
ইব্রাহিম জোদেহ নামে ৩৯ বছর বয়সী গাজার এক ব্যক্তি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এটি স্পষ্ট এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি বাস্তবসম্মত নয়। এটি এমন শর্তে সাজানো হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল জানে হামাস এটি কখনো মানবে না। আমাদের জন্য এটির অর্থ হলো- যুদ্ধ ও আমাদের দুর্ভোগ চলবে।
আবু মাজিন নাসার নামে ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি জানান, হামাসকে ফাঁদে ফেলার জন্য এ প্রস্তাব সাজানো হয়েছে। যেন তারা সব জিম্মিকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু এরপর ইসরায়েল আর যুদ্ধ বন্ধ করবে না।
তিনি বলেন, ‘এটি হলো ছলচাতুরি। যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা ছাড়া সব জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার মানে কি? আমরা সাধারণ মানুষ এ প্রহসন মানব না। হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে যে সিদ্ধান্তই এখন নিক না কেন (খুব বেশি লাভ নেই)। ইতোমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেছে।’
সূত্র : এএফপি