প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৫, ১১:০০
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হলো আইভীকে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনউদ্দিন কাদিরের আদালতে উপস্থিত করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মনিরুল ইসলাম নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় আইভীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আদালত পরবর্তী ২৬ মে পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। সে মামলায় আইভী এজাহারভুক্ত ১২ নাম্বার আসামী। মামলায় ১৩০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে বিবাদী করা হয়।
এর আগে গত ৯ মে ভোরে শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকা কুটির থেকে আইভীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাড়ি থেকে বের হবার আগে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলায় যদি আমার শাস্তি হয় তাহলে আমি তা মাথা পেত নেব। আমি তো কোনো অন্যায় করিনি, চাঁদাবাজি করিনি, হত্যা করিনি। যখন নারায়ণগঞ্জের একটা মানুষও কথা বলত না প্রতিবাদ করত না তখন ত্বকী হত্যার প্রতিবাদসহ সকল প্রতিবাদ আমি করেছি। আমি আপনাদের সেবা দিয়েছি।
তিনি বলেন, আপনারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, নতুন সরকার এসেছে। আমি তো কোনো অপরাধ করিনি। তাহলে কেন আমাকে গ্রেফতার জানতে চাই সরকারের কাছে। আমার ভাইকে আমরা হারিয়েছি এক মাস হয়নি, তিনটা ছেলে-মেয়ে। এমন অবস্থায় আমি তো বাড়িতেই ছিলাম, পালাইনি, তবে কেন গ্রেফতার?
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত এগারোটার দিকে পুলিশের একটি দল শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত আইভীর বাড়ি চুনকা কুটিরে প্রবেশ করেন। এ সময় আইভীর গ্রেফতারের খবরে স্থানীয় বাসিন্দারা ও তার নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে আসলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় আইভীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চারটি রাস্তায় বাশ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইভীর সমর্থকেরা। আশেপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সকলকে আইভীর বাড়ির দিকে রওয়ানা দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদি জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আইভীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় চারটি ও ফতুল্লা থানায় একটি মামলা আছে।