সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫  |  

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৪১

সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভোট করতে দলগুলোর সহযোগিতা চাইলেন সিইসি

সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভোট করতে দলগুলোর সহযোগিতা চাইলেন সিইসি
অনলাইন ডেস্ক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য পরিবেশে আয়োজন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একা এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে পারে না। বিশেষ করে জাতীয় নেতৃবৃন্দ, যাদের সরাসরি ভোটারদের প্রভাবিত করার ক্ষমতা আছে, তাদের সহযোগিতা অপরিহার্য।

রোববার (নভেম্বর ১৬) নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্যে সিইসি এই আহ্বান জানান।

সিইসি জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কমিশনকে অনেকগুলো বড় ও চ্যালেঞ্জিং কাজে হাত দিতে হয়েছে। কাজের চাপের কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

কমিশনের কয়েকটি প্রধান কাজ ও সাফল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ছিল একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রায় ৭৭ হাজার লোক এই কাজে মাঠে কাজ করেছে। এছাড়া প্রায় ২১ লাখ মৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং ৪০ লাখেও অধিক লেফট আউট ভোটারকে (যারা ভোটের যোগ্য কিন্তু তালিকায় নাম ছিল না) শনাক্ত করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নতুন উদ্যোগ ও ইনিশিয়েটিভ এর বিষয়ে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ডায়াসপোরাদের ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত জটিল ও নতুন একটি উদ্যোগ বলে জানান সিইসি। তিনি জানান, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত প্রায় ১০ লাখ লোক (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পোলিং ও প্রিসাইডিং অফিসার) যাতে নিজেরা ভোট দিতে পারেন, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের বাইরে পোস্টেড সরকারি চাকরিজীবীদের ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং কারাগারে থাকা নাগরিকদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা বিলম্বে শুরু হওয়া প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমরা এত কাজের চাপের মধ্যে পড়ে গেছি... যার জন্য আমরা রাউন্ড ক্লক উই আর বিজি। তবে তিনি উল্লেখ করেন যে, নির্বাচনী সংস্কার কমিশন (ইলেক্টোরাল রিফর্মস কমিশন) তাদের পক্ষ থেকে কাজটি অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। সংস্কার কমিশন রিপোর্ট দেওয়ার আগে বিভিন্ন পক্ষের সাথে, ইনক্লুডিং দ্যা পলিটিক্যাল লিডারস, ৮০টির বেশি সংলাপ করেছে। ঐকমত্য কমিশনেও আপনাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকেও সংস্কার কমিশনের কিছু বিষয় স্ব-উদ্যোগে বাস্তবায়নের ঘোষণা ছিল বলে জানান তিনি।

সিইসি নির্বাচন আচরণ বিধিমালার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি জানান, আচরণ বিধিমালা তৈরির পর তা দীর্ঘদিন ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছিল এবং রাজনৈতিক দলগুলোর লিখিত মতামত নিয়ে এতে সমন্বয় করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সুষ্ঠুভাবে পরিপালনের উপরেই একটি সুন্দর নির্বাচন অনেকাংশে নির্ভর করে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মনোযোগ দিয়ে আচরণ বিধিমালাটি পড়ে দেখতে এবং তাদের দলের কর্মীদের কাছে প্রচারের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়