রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪  |   ৩৩ °সে

প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:০৯

একাদশে ভর্তির সুযোগ পেলেন ১২ লাখ ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী

একাদশে ভর্তির সুযোগ পেলেন ১২ লাখ ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী
অনলাইন ডেস্ক

প্রথম ধাপে কলেজ ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন ১২ লাখ ৭৮ হাজার ১১৪ জন শিক্ষার্থী। এই ধাপে মোট ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ১৭ জনের আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়নি। সে হিসেবে আবেদন করেও কলেজ পায়নি ৭৯ হাজার ৫৩২ জন। চলতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৫০২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪ লাখ ৪ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেননি। বিভিন্ন কলেজে চয়েস দেওয়ার মধ্য দিয়ে এবছর মোট আবেদনের সংখ্যা ছিল ৭৪ লাখ ২০ হাজার ৮৪৮টি।

বোর্ড সংশ্লিষ্টরা জানান, অনেক শিক্ষার্থী মেডিক্যাল অ্যাসিস্টেন্স, নার্সিং ও মিড ওয়াফারি, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, কৃষি ও টেকনিশিয়ান বিভাগে পড়াশোনা করেন। আবার প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। তবে পরবর্তী দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের আবেদন নিয়ে মোট ১৪-১৫ লাখ শিক্ষার্থী কলেজ ভর্তির আবেদন করতে পারে।

চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর মধ্যে আবেদন করেও কলেজ ভর্তি নিশ্চিত করতে পারেনি ২৩ হাজার ২৩১ জন। শুধু ঢাকা বোর্ডেই জিপিএ-৫ ধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে অনলাইন ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন ৫৭ হাজার ২৮৬ জন। আবেদন করেও কলেজ ভর্তি নিশ্চিত করতে পারেননি ৬ হাজার ৬৬২ জন জিপিএ-৫ ধারী শিক্ষার্থী।

জানা যায়, এবছর ঢাকা বোর্ড থেকে মোট ৪ লাখ ৭ হাজার ৬৫৪ জন কলেজ ভর্তির আবেদন করেছিলেন। যার মধ্যে কলেজ ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৩ লাখ ৩২ হাজার ৩৪২ জন।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব বলেন, ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিপুল সংখ্যক আবেদন পড়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে আবেদন না করায় অনেক জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চিত করতে পারেনি। সারাদেশে ৭ হাজার ৫৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধীনে আসন সংখ্যা রয়েছে ২৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭টি। শুধুমাত্র ৪ হাজার ৮০৬টি কলেজে আসন সংখ্যা ২২ লাখ ৬৯ হাজার ৪২টি। এছাড়া ২ হাজার ৭৭০টি মাদরাসায় আসন রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৫৫টি। শুধুমাত্র ঢাকা বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৫৪টি কলেজে প্রায় ৫ লাখ ২১ হাজার আসন রয়েছে। পরবর্তী দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপের পর কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি বঞ্চিত থাকবে না।

অধ্যাপক আবু তালেব বলেন, মাইগ্রেশনের সময় তালিকার ওপরে থাকা ভালো প্রতিষ্ঠানে কিছু শিক্ষার্থীর নাম চলে আসবে। তবে এর সংখ্যা খুব বেশি হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ১২ লাখের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩-৪ হাজার শিক্ষার্থীর নাম আসতে পারে।

সারাদেশে সাড়ে ৭ হাজার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি কলেজে প্রথম পর্যায়ে কেউ আবেদন করেনি। চয়েস দেয়নি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০০টি। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডের ১৮টি কলেজ রয়েছে। আর চয়েস না দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০০টির বেশি মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

ভর্তি প্রক্রিয়ায় এবছর ইকিউ নামে নতুন কোটা চালু করা হয়েছে। যেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের সন্তানদের জন্য ২ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রয়েছে। তবে এখানে শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ আবেদনের প্রেক্ষিতে ভর্তি নিশ্চায়ন করেছে ১ হাজার ৬২০ জন শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে হাতে গোনা ২০টি কলেজ। যেখানে আসন সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজারের বেশি হবে না। এসব কলেজের মধ্যে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ২ হাজার ৩৭০, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজে ২ হাজার ৫৬১, ঢাকা সিটি কলেজে ৩ হাজার ৭৩২, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে ১ হাজার ৬৬৬, ঢাকা কলেজে ১ হাজার ২০০, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে ১ হাজার ১৭০, শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট ৮০০, সিটি কলেজে ৩ হাজার ৭৩২, ঢাকা কর্মাস কলেজে ৩ হাজার ৬১০ এবং ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে ১ হাজার ২২টি আসন আছে।

এছাড়াও নটর ডেম কলেজে আসন সংখ্যা ৩ হাজার ১৬০টি এবং হলিক্রস স্কুল এন্ড কলেজে আসন রয়েছে ১ হাজার ২০০টি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়