মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫  |   ২৭ °সে

প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ২২:০২

অপহরণ মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

অপহরণ মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
অনলাইন ডেস্ক

পাবনায় অপহরণ মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের (জেলা জজ) বিচারক আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার খোকশা থানার বনগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে আবুল কালাম, নিহাল বিশ্বাসের ছেলে আজাদ, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার লঘু নন্দনপুর গ্রামের নুরু জোয়ার্দারের ছেলে সবুজ ওরফে দাদা ভাই ওরফে বকুল, একই এলাকার খলিল। রায় ঘোষণার সময় আজাদ ও আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুজন পলাতক আছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ থেকে পাবনার বেড়া উপজেলার রামনারায়পুরের রশিদ সিকদারের বাড়িতে দিনমজুরের কাজে এসে সম্পর্ক তৈরি করেন সবুজ। এক পর্যায়ে ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই রশিদকে বিদেশে নেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যান সবুজ। পরদিন রশিদের বাড়ির লোকজন তার খোঁজ নিলে সবুজ তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

এ বিষয়ে বেড়া থানায় একটি অভিযোগ দেন রশিদের শ্যালক বাহের মন্ডল। অভিযোগের সূত্রে ধরে সবুজকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন। মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় রশিদকে হত্যা করে মরদেহ পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

তবে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করতে না পারায় শুধু অপহরণের মামলা করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১১ জনের সাক্ষী শেষে মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান ও মকিবুল আলম বাবলা এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মজনুল হক বলেন, যেহেতু মরদেহ উদ্ধার হয়নি এজন্য হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অপহরণ মামলায় বিচার হয়েছে। এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

তবে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামিদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান। তিনি বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়