প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৬
সংগীতকে বিদায় জানাচ্ছেন তাহসান, জিহাদী বলে খোঁচা তসলিমা নাসরিনের

তাহসান খান একাধারে জনপ্রিয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা ও উপস্থাপক। চলতি মাসে সংগীত জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন। দীর্ঘ দুই যুগের ক্যারিয়ারে কোটি শ্রোতার ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। সম্প্রতি আস্ট্রেলিয়ায় একটি কনসার্টে অংশ নিয়ে সংগীতকে বিদায় জানানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তাহসান। খবরটি প্রকাশ্যে আসতে অনুরাগীদের মন ভারী।
ওই কনসার্টে অনুরাগীদের উদ্দেশে কথা বলার সময় তাহসান বলেন, ‘মেয়ে বড় হচ্ছে- এখন কি দাঁড়ি রেখে স্টেজে দাঁড়িয়ে এমন লাফালাফি করতে ভালো লাগে?’ গায়কের এই কথা ধরে সমালোচনায় মেতেছেন নির্বাসিতা লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে তসলিমা লেখেন,‘দাড়ি রেখে বুঝি স্টেজে গান গাওয়া নিষেধ? মেয়ে বড় হলে বুঝি গান গাওয়া নিষেধ? লাফালাফি করতে ইচ্ছে না হলে লাফালাফি না করেও গান গাওয়া যায়। আমি তো জানি একমাত্র গান গাইতে না পারলেই স্টেজে গান গাওয়া উচিত নয়। তাহসানের দাড়ি কি ইসলামী দাড়ি? ইসলামী দাড়ি হলে না হয় বুঝতাম ইসলাম ব্যবসায়ীদের ফতোয়া মেনে গান ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।’
এরপর তিনি যোগ করেন, ‘দেশে যখন গান বাজনা বন্ধ করার জন্য জিহাদী জঙ্গিরা উঠে পড়ে লেগেছে, তিনি তখন গান বাজনার পক্ষে না দাঁড়িয়ে গান বাজনা ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে কথা বলছেন। তিনি কি মনে করেন যে কণ্ঠশিল্পীরা দাড়ি রাখেন, যাঁদের মেয়ে বড় হয়, তাঁদের গান বাজনা বন্ধ করা উচিত? তাঁদের আর স্টেজে গান গাওয়া উচিত নয়? তাহলে তিনি তো জিহাদীদের মতোই কথা বললেন।’
সবশেষে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘যে জিহাদীরা বাউল উৎসব বন্ধ করছে, লালন মেলা বন্ধ করছে, স্কুলে গানের শিক্ষক বন্ধ করছে, গান বাজনার মাজার পুড়িয়ে দিচ্ছে! তিনি কি গান বাজনার বিরুদ্ধে ওঁদের জিহাদ ঘোষণায় সায় দিয়েছেন? তা না হলে তাঁর কোনো প্রতিবাদ দেখিনি কেন?’
২০০৪ সালে প্রকাশিত ‘কিছু কথা’ অ্যালবামের মধ্য দিয়ে তাহসানের সংগীত জীবন শুরু হয়। এর আগে ১৯৯৮ সালে তৈরি করেন ব্যান্ডদল ‘ব্ল্যাক’। ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক’ এর হয়ে বেশ কিছু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই তারকা।
২০১২ সালে তাহসান গঠন করেন ‘তাহসান অ্যান্ড দ্য সুফিজ’ নামে নতুন একটি ব্যান্ড। ‘কৃত্যদাসের আবাসে’ নামে তার নিজস্ব স্টুডিও রয়েছে। ‘চোখে চোখে কথা হতো’, ‘যদি কোনোদিন’, ‘চলে যাও তবে’, ‘আলো’ , ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘কতদূর’, ‘প্রেম তুমি’ গানগুলো এখনও ভক্তদের হৃদয়ে দোলা দেয়।