শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪  |   ৩৩ °সে

প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২২, ০৮:৫৪

ট্রেনে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনেও মানুষের চাপ

ট্রেনে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনেও মানুষের চাপ
অনলাইন ডেস্ক

আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন রাজধানীবাসী। আর এ আনন্দঘন ঈদযাত্রায় প্রতিবারের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে রেলপথে। গতকাল বুধবার ছিল ট্রেনে ঈদযাত্রার প্রথম দিন। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় বিলম্বের বিষয়টি নজরে আসছে। এ নিয়ে ঈদযাত্রীরা আজও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদের আগাম টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মিলছে না টিকিট।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৬টায় রাজশাহীগামী ধূমকেতু ট্রেনের মাধ্যমে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা বিলম্ব হওয়ায় পরের ট্রেন সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ৬টা ২০ মিনিটে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন শুরু হয়। ভোর থেকেই যাত্রী সাধারণের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পুরো স্টেশন এলাকা।

সরেজমিনে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, এদিন নিজ নিজ গন্তব্যের ট্রেন ধরতে সেহরি খেয়েই অনেকে চলে এসেছেন স্টেশনে। তারা জানান, সেহরির পর ঘুমিয়ে গেলে আর ট্রেন ধরতে পারবেন না, এজন্য আগেভাগেই স্টেশন এলাকাতে চলে এসেছেন। আগত এসব যাত্রীদের অনেকেই ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে সাথে এনেছেন হাতপাখা। এবারের ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ৫৩ হাজার যাত্রী ট্রেনে রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র আন্তঃনগর ট্রেনে আসন থাকবে ২৭ হাজারের বেশি।

তামিম ফয়সাল ফজরের নামাজ পড়েই চলে এসেছেন স্টেশনে। তার গন্তব্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, তার ট্রেনের নির্দিষ্ট সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিট। ফয়সাল বলেন, ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষার পর টিকিট মিলেছে। এখন যদি ট্রেন মিস হয় তাহলে আর বাড়ি যাওয়া হবে না। তাই আগেই স্টেশনে এসেছি, ঘুম এলে এখানে বসে বসে ঘুমাবো, কিন্তু ট্রেন মিস হলে চলবে না।

একই কথা জানান রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী আবু মুরসালিন। তার যাত্রার সময় দেওয়া আছে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে। তিনি বলেন, গতকাল গণমাধ্যমে দেখেছি ট্রেনের বিলম্ব। তবুও আগেই স্টেশনে এলাম, এখানে পৌঁছানোর পর ট্রেন যখনই আসবে উঠতে পারবো। আর বাসায় থাকলে ঘুমিয়ে পড়বো তখন হয়তো উঠতে পারবো না। বাড়ি যেতে না পারলে তো ঈদ আনন্দই মাটি হয়ে যাবে।

ঈদযাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে। এবারের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রোববার (২৪ এপ্রিল) থেকে ২৮ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হয়, ২৫ এপ্রিল দেওয়া হয় ২৯ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ এপ্রিল ৩০ এপ্রিলের টিকিট আর ২৭ এপ্রিল দেওয়া হয় ১ মে’র টিকিট।

সূত্র: জাগো নিউজ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়