প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৫, ২২:৫০
‘বন্দর বাঁচাতে, করিডোর ঠেকাত’ বামপন্থিদের রোড মার্চ শুরু

জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে দুই দিনের ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড মার্চ শুরু করেছে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের ব্যানারে বামপন্থি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
প্রথম দিন ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও হয়ে বিকেলে কুমিল্লার টাউন হল ময়দানে সমাবেশ করবে। দ্বিতীয় দিন সকাল নয়টায় ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে মীরসরাই পৌঁছে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবে। সেখান থেকে বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে সমাপনী সমাবেশ করে তাদের রোড মার্চ কর্মসূচির সমাপ্তি করবেন। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে গিয়ে তার সমাপ্তি করবে।
রোড মার্চ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। এ সময় বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স তাদের রোড মার্চ কর্মসূচি পালনের চার দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো— নিউমুরিংসহ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে দেওয়া চলবে না। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে পরিচালনা করতে হবে; রাখাইনে করিডোর দেওয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে; স্টারলিংক, সমরাস্ত্র কারখানা, করিডোরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে জড়ানোর উদ্যোগ বন্ধ করতে হবে; এবং মার্কিন ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী আধিপাত্যবাদী দেশসমূহের সঙ্গে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারসহ বিগত সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত সব চুক্তি প্রকাশ করতে হবে ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এ সময় রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আগামীকাল বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরে ঐতিহাসিক সমাবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ রোড মার্চ কর্মসূচি শেষ করবো। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ। দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি-হৃৎপিণ্ড। আমরা আশা করব বিগত সরকারের ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বন্দরকে ইজারা দেয়াসহ যে কাজ করতে চাইছেন তার থেকে তারা পিছু হটবেন। আর এটা নিয়ে আগামীকাল রোড মার্চের শেষে আর কোনো বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে হবে না। কিন্তু যদি সরকার এই দায়িত্ব পালন না করে তাহলে আগামীকাল সমাপনী সমাবেশ থেকে আমরা ঘোষণা পাঠের সঙ্গে আন্দোলনের বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, বাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এমএম আকাশ, বাসদ (মার্কসবাদী) এর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের সভাপতি মফিজুর রহমান লালটু, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি এ্যাড আবদুস সবুর খান, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্তসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।