সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫  |   ২৯ °সে

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০১

'ভারত ও আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে'

'ভারত ও আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে'
অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানকে গুমের চেষ্টা ও হামলার অভিযোগ তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।

গত রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বড়বাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীরা আব্দুর রহমানের উপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রাশেদ খান বলেন, ২৯ আগস্ট নুরুল হক নুরের উপর হামলা হয়েছে, জাতিসংঘের সামনে এনসিপি নেতা আখতার ও ডা. জারাকে অপদস্ত করা হয়েছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে আব্দুর রহমানকে গুমের চেষ্টা ও হামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে পাহাড়ে সংঘর্ষ, ধর্ষণ ও সেনাবাহিনীর উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এগুলো নিছক আলাদা ঘটনা নয়—বরং প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নুরুল হক নুরের উপর হামলার পরে যদি অপরাধীরা গ্রেফতার হতো তবে তারা ষড়যন্ত্র করার সাহস করত না। সরকারের দুর্বলতায় আওয়ামী দোসররা সাহস পাচ্ছে। প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে নির্মূল না করে পুনর্বাসন করেছে। আবারও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে এর দায় নিতে হবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার উপদেষ্টা পরিষদকে। তারা সচিবালয়, পুলিশ প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আওয়ামী এজেন্টদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং বিএনপি-জামায়াত তকমা দিয়ে যাদের ১৬ বছর বঞ্চিত করা হয়েছে, এই সরকার তাদের আরও বঞ্চিত করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র হাসান আল মামুন বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যেভাবে সাদা পোশাকে সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে যেত, ঠিক একইভাবে ২৮ সেপ্টেম্বর আব্দুর রহমানকে তুলে নিয়ে হামলা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, এমনকি কারা এর সাথে জড়িত সেটাও জানা যায়নি। পাশাপাশি নুরুল হক নুরের উপর হামলার এক মাস পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। আওয়ামী আমলের মতো যদি তদন্ত কমিটি হয়, তবে এ তদন্তও আলোর মুখ দেখবে না। আমরা দৃশ্যমান পদক্ষেপ চাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামান, আব্দুজ জাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. ইলিয়াস মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়