প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২২
চাঁদাবাজদের সাথে কোনো জোট নয়: হাসনাত আবদুল্লাহ

বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যারা পাড়া–মহল্লায় রমরমা চাঁদাবাজির সাথে জড়িত, তাদের সাথে জোট করে নির্বাচন করার চাইতে মরে যাওয়া অনেক ভালো। বিএনপি অনেক কষ্ট করে দলটা টিকিয়ে রেখেছে। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী তাদের নেতাদের মাধ্যমে কোনঠাসা হয়ে রয়েছে। তারা অনেক সময় আমাদেরকে বলে, তোমরা দেশটাকে সঠিক পথে নাও। আমাদের দলটাকে তারা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আমরা রক্ত ও ঘাম দিয়ে আন্দোলন করেছি ভোটের অধিকার ও মানুষের স্বাধীনতার জন্য।
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপি জেলা কমিটির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির মধ্যে অনেক ভালো মানুষ রয়েছে যারা কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত নেই, তাদেরকে আমরা আমাদের দলে নেব। যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বিশ্বাস করে তারা কখনো চাঁদাবাজি করতে পারে না।
নিজ দল সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকেই এখন চায়ের দোকানে বসে মশকরা করে বলে, এনসিপি করেন, ভোটের পর আর খবর থাকবে না। আমি তাদেরকে বলব, ভালো কাজ অল্প সংখ্যক লোক দিয়েই শুরু হয়। অনেক সময় বলা হয়, সমাজে যারা সংখ্যায় বেশি তারাই কল্যাণকামী। এটা ভুল। কল্যাণকামীরা সবসময়ই কম সংখ্যক হয়। হাসিনার সময়ে যারা লড়াই–সংগ্রাম করেছে, তাদের সংখ্যাও কম ছিল।
নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা অনেকেই কোরাম করছেন। কি নিয়ে কোরাম করছেন? আজকের উপস্থিতি দেখা গেছে, এই জেলার ৮ উপজেলার যেসব জনপ্রতিনিধি থাকা দরকার, সেই পরিমাণ লোক এখানে উপস্থিত হয়নি। তাহলে কীভাবে আপনারা কাজ করবেন? কোরাম করা লোকদের আমাদের প্রয়োজন নেই। ভালো ১০ জন দিয়েই এনসিপির কমিটি হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা দেখছি ভালো নির্বাচন হবে। তবে অনেকেই ব্যালট না নিয়ে বুলেট বেছে নিয়েছে। তারা ভাবছে, বুলেটের ভয় দেখিয়ে দেশের মানুষকে ফ্যাসিবাদী শাসনের মত অবস্থায় নিয়ে যেতে পারবে। ইতোমধ্যে এনসিপির বিষয়ে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে, যদি এনসিপিতে ভোট দাও, তাহলে নির্বাচনের পরে খবর আছে। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই, যারা ভয় পায় তারাই জনগণকে ভয় দেখায়। যারা ভয় দেখায়, তারা অতি নিকটবর্তী ক্ষতির মধ্যে আছে। সাহসী মানুষ ভয় দেখায় না, তারা মানুষের সাথে মিলেমিশে কাজ করে। একটি দল এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মুহাম্মদ মিরাজ মিয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ তালুকদার, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও কুমিল্লা অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক নাভিদ নাওরোজ শাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম এবং কেন্দ্রীয় সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী মো. মাহবুব আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জাতীয় ছাত্রশক্তি নেতা মো. সাগর হোসেন।
সভায় বক্তারা জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করার আহ্বান জানান এবং দলের কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।







