প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ২২:৫৩
ঘুষকাণ্ডে জড়িত পটুয়াখালীর সেই পিপির আইনজীবী সনদ স্থগিত

এক বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় পটুয়াখালী জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. রুহুল আমিনের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবী সনদ স্থগিত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে দুই শিশু গৃহপরিচারিকাকে অমানবিক অত্যাচার করায় বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত আইনজীবী ওমর শোয়েবের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্তের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তী কাউন্সিল সভায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বার কাউন্সিলের জরুরি এক সভায় এ দুই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বার কাউন্সিলের সচিব (জেলা ও দায়রাজজ) মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বার কাউন্সিল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ দুটির বিষয়ে জরুরি সভায় মিলিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল), ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান এ. এস এম বদরুল আনোয়ার, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ.এম. মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাউজ কমিটির চেয়ারম্যান মো. মহসিন মিয়া, লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, ল’ রিফর্ম কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী এনায়েত হোসেন, রোল অ্যান্ড পাবলিকেশন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মাইনুল আহসান, রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম, কমপ্লেইন অ্যান্ড ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মতিন, বার কাউন্সিলের সদস্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম খান।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সংঘটিত একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন নিশ্চিত করতে অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন বিচারকের বাসায় ৫০ হাজার টাকা ও মামলার নথি পাঠান। এর আগে, হোয়াটসঅ্যাপে তিনি বিচারকের কাছে আসামির জামিনের জন্য তদবির করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় বিচারক নিলুফার শিরিন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।