শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪  |   ৩৮ °সে

প্রকাশ : ১৬ মে ২০২২, ১১:১১

উন্নয়নের ধারায় গতি বাড়ানোই সরকারের লক্ষ্য: শপথের পর মুখ্যমন্ত্রী

উন্নয়নের ধারায় গতি বাড়ানোই সরকারের লক্ষ্য: শপথের পর মুখ্যমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক

উন্নয়নের ধারাকে গতিশীল করাই রাজ্য সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।

তিনি বলেছেন, রাজ্যের বর্তমান সুশৃঙ্খল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যের জনগণের কল্যাণে যেসব কাজ শুরু করে গেছেন তার সুফল সমাজের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করবে।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে চিকিৎসক থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া মানিক সাহা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের চলমান উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো এগিয়ে নিতে এবং রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা অটুট রাখতে বিরোধীদলের সহযোগিতাও প্রয়োজন। উন্নয়নমূলক কাজে বিরোধীদের মতামতকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ভিশন ডকুমেন্টের বিভিন্ন বিষয় পূরণেও সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে। আগামী ২০৪৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যের উন্নয়নের যে রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে সরকানের কাজে আরও গতি আনা হবে। রাজ্যের বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়েও সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

ডা. মানিক সাহা আরও বলেন, সংবাদমাধ্যম হলো গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকসহ সবার সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি সরকার বিশেষ গুরুত্ব দেবে।

রাজ্যের উন্নয়ন প্রশ্নে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যখন যে দায়িত্ব দেবে তা পালনে রাজ্য সরকার সচেষ্ট থাকবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ এগিয়ে নিতে ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে রাজ্যের নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির রাজ্য ইউনিটের অন্তর্কোন্দলের মধ্যেই গতকাল শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিপ্লব কুমার দেব। এর একদিন পরই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ৬৯ বছর বয়সী ডা. মানিক সাহা।

কংগ্রেস ছেড়ে ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়া ডা. মানিক ২০২০ সালে বিজেপির রাজ্য ইউনিটের সভাপতি নিযুক্ত হন। এরইমধ্যে দলের সংসদীয় কমিটির নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বছরের শুরুতে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে তিনিই ধরতে পারেন বিজেপির হাল।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়