বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫  |   ২৭ °সে

প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৫, ০৯:৪৮

পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ছুরিকাঘাত, বাঁচানো গেল না স্ত্রীকে

পরকীয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ছুরিকাঘাত, বাঁচানো গেল না স্ত্রীকে
অনলাইন ডেস্ক

কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুরে পরকীয়ার জেরে স্ত্রী মেঘলা খাতুনকে (৩০) গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যাচেষ্টা করেন স্বামী মামুন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেঘলা খাতুন মারা যান।

বুধবার (১৪ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন।

নিহতের পরিবার জানায়, স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করার পর মামুন তার দুই শিশু কন্যাকে হাতে করে তুলে মাথার ওপর থেকে নিচে ফেলে হত্যাচেষ্টা করেন। পরে নিজের গলা কেটে স্বামী মামুনও আত্মহত্যাচেষ্টা করেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হরিশংকরপুরে মামুনের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী মেঘলা খাতুনের মৃত্যু হয়। দুই কন্যা কুলসুম (৪) ও জান্নাত (২) এবং মামুনের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।

পুলিশ জানায়, হরিশংকরপুর এলাকার নবিউলের ছেলে মামুন পেশায় রঙ মিস্ত্রি। মামুনের স্ত্রী মেঘলা পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে এক ছেলের সঙ্গে ঢাকায় চলে যান মেঘলা। যদিও বেশ কিছুদিন আগে মেঘলা আবার হরিশংকরপুরে স্বামী মামুনের বাড়িতে ফিরে আসেন। মঙ্গলবার রাতে স্বামীর সঙ্গে বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে স্বামী মামুন প্রথমে তার স্ত্রী মেঘলাকে গলায় ছুরিকাঘাত করে জখম করে এবং দুই মেয়ে কুলসুম ও জান্নাতকে মাথার ওপর তুলে নিচে ফেলে (আছাড়) হত্যার চেষ্টা করে। এরপর বটি দিয়ে মামুন নিজের ঘাড় ও গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

এ সময় স্থানীয়রা তাদের ৪ জনকেই উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী মেঘলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসক রাজীব হাসান বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেঘলা নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, পরকীয়ার জেরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়