সোমবার, ২০ মে, ২০২৪  |   ২৮ °সে

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ২৩:১৬

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে ১ উইকেটে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে ১ উইকেটে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা
অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বকাপে নিজেদের ৬ষ্ঠ ম্যাচে আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের এম.এ. চিদম্বরম স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তান। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৪ ওভারে ২৭০ রানেই অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.২ ওভারে ৯উইকেট হারিয়ে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা। ফলে ১উইকেটের নাটকীয় জয় নিয়ে সেমির পথ আরো মসৃন করল দক্ষিণ আফ্রিকা।

ম্যাচের এক পর্যায় মনে হয়েছিল বাবর আজম বাহিনী জিতে যাবে। পাকিস্তানকে হারানোর সুবাদে ৬ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠেছে প্রোটিয়ারা। ভারত ৫ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ৪ জয় নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নিউজিল্যান্ড। ৪ উইকেট এবং ৬ বলে অপরাজিত ৪ রান করায় ম্যাচসেরা হন তাবরেজ শামসি।

২৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে প্রোটিয়ারা। প্রথম তিন ওভারেই রান ৩০ এর ঘরে নিয়ে যান দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং টেম্বা বাভুমা। ৪র্থ ওভারের তৃতীয় বলেই পাকিস্তানকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২৪ রানেই ফিরে যান এ বিশ^কাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি কক। ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক বাভুমা। দলীয় ৬৭ রানে তার অবদান ছিল ২৮ রানের। ২১ রান করে ইনজুরিতে পড়া সাদাব খানের কনকাশনে নামা ওসামা মীরের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন ডুসেন। দ্রুত প্যাভিলিনে ফেরেন হেনরিখ ক্লাসেনও।

এরপর এইডেন মার্করাম এবং ডেভিড মিলার গড়েন ৭০ রানের জুটি। আফ্রিদির বলে উইকেটরক্ষক রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ডেভিড মিলার। ২ চার এবং ২ ছয়ে ৩৩ বলে ২৯ রান করেন তিনি। ২০ রান করে থামেন মার্কো জানসেন। ম্যাচের একদম শেষ দিকে দলীয় ২৫০ রানে ওসামার বলে নড়বড়ে নব্বইয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন মার্করাম। তার উইকেটে হারের শঙ্কা জাগে প্রোটিয়াদের মধ্যে।

কিন্তু শেষ দিকের নাটকীয় মুহূর্তে পাকিস্তানের হয়ে ৩ টি উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি। এছাড়াও ওয়াসিম জুনিয়র, ওসামা মীর ও হারিস রউফ নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। বরাররের মতই ওপেনিংয়ে ব্যর্থ দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক এবং ইমাম উল হক। আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যাট থেকে আসে ৯ রান এবং ইমাম উল হকের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। এরপর অধিনায়ক বাবর আজম এবং উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটি থেকে আসে ৪৮ রান। দলীয় ৮৬ রানে কোয়েটজের বলে প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। ফেরার আগে করেন ২৭ বলে ৩১ রান। ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ইফতিখার আহমেদ।

তাবরেজ শামসির বলে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। ফিফটি পাওয়ার পরেই আউট হয়ে যান অধিনায়ক বাবর আজম। বড় করতে পারেননি ৬৫ বলে ৫০ রান করা ইনিংসটিকে। এরপর দলের হয়ে লড়াই চালিয়ে যান অল রাউন্ডার সাদাব খান এবং সৌধ শাকিল। তাদের জুটির উপর ভর করে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখতে থাকে পাকিস্তান। কিন্তু তাদের ৮৪ রানের জুটির অবসান ঘটে সাদাব খানের ৪৩ রানে বিদায়ের পর। ফিফটির পর ক্রিজে থিতু হতে পারেননি সৌধ শাকিলও। ৫২ রানেই তার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। এরপর মোহাম্মদ নওয়াজের ২৪ বলে ২৪ রানের উপর ভর করেই ২৭০ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। প্রোটিয়াদের হয়ে তাবরেজ শামসি নেন ৪টি উইকেট। মার্কো জানসেন নেন ৩টি এবং জেরাল্ড কোয়েটজে নেন দুটি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়