সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৫ °সে

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ২১:২১

সেটাই প্রাপ্য ছিল, অভিনেতাকে চড় মারা প্রসঙ্গে মৌসুমী

সেটাই প্রাপ্য ছিল, অভিনেতাকে চড় মারা প্রসঙ্গে মৌসুমী
অনলাইন ডেস্ক

ভারতীয় প্রবীণ অভিনেত্রী মৌসুমী চ্যাটার্জি। তিনি বেশি রাখঢাক পছন্দ করেন না, সব কিছুরই সোজা সাপটা জবাব দিয়ে থাকেন। যে যত বড় অভিনেতা বা পরিচালক হোন না কেন, নায়িকার চোখে যেটা অন্যায় সেটার সব সময় প্রতিবাদ করেছেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরুষসহ-অভিনেতা কখনও সীমা অতিক্রম করলে তাকেও উচিত শিক্ষা দিয়েছে। এক অভিনেতাকে নাকি তিনি চড়ও মেরে ছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মৌসুমী এই বিষয়ে কথা বলেছেন।

জানিয়েছেন স্পষ্টবাদী হওয়ার কারণে কীভাবে তাকে নানা ক্ষতির মুখেও পড়তে হয়েছে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তাদের সেটাই প্রাপ্য ছিল, তারা পুরুষতান্ত্রিক ছিল, কিন্তু আমি এর জন্য তাদের দোষ দিচ্ছি না।’

‘মুদ্রার দুটো পিঠকেই দেখতে হবে। নায়করা নায়িকাদের সঙ্গে প্রেম করতেন, এবং তারা আশা করতেন যে নায়িকারা প্রতিদানও দেবে। এই একমাত্র উপায় যা তারা জানতেন। তারা আর অন্য কোনও উপায় জানতেন না। পুরুষরা মা, স্ত্রী ও বোনের আদরে বড় হয়।’

সেই সাক্ষাৎকারেই মৌসুমী জানান, তিনি কখনও আপস করার পক্ষে ছিলেন না। এর জন্য তাকে কয়েকটি কাজ থেকে বাদও পড়তে হয়েছে। তাই কি গুলজারের ‘কোশিশ’ ছবিতে নায়িকার কাজ করার কথা থাকার পরও সেখানে তার বদলে জয়া বচ্চনকে দেখা যায়?

এই প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেন, ‘আমি আমার মর্যাদার সঙ্গে কখনও আপস করব না, যাই হোক না কেন। তবে সে সব এখন অতীত। পড়ে গুলজার এবং আমি ‘আঙুর’ কাজ করেছি। আর কাকতালীয় ভাবে, হরিভাই (সঞ্জীব কুমার) ‘কোশিশ’-এও নায়ক ছিলেন, পড়ে আমার ছবি ‘আঙুর’ -এও আমার নায়ক হন। আমি অনেক কাজ হারিয়েছি কারণ আমি কারও অহংকারের কাছে নতি স্বীকার করিনি কখনও।’

প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে ‘বালিকা বধূ’ ছবিতে নায়িকা হয়ে মৌসুমী চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। পাঁচ বছর পর, তিনি ‘অনুরাগ’ ছবির মাধ্যমে বি-টাউনে পা রাখেন। ৭০-এর দশকে তিনি অমিতাভ বচ্চন, বিনোদ খান্না, রাজেশ খান্নার মতো প্রথম সারির তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়