প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২০:৪৬
গুজবে বিব্রত হাসনাত-সারজিসরা, হোটেল পরিবর্তন করেছেন তারা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে কক্সবাজার ঘুরতে এসে আলোচনার জন্ম দেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির ৫ শীর্ষ নেতা এখন পর্যটন শহরের একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছেন।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে শহর থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এনসিপি নেতারা সী-পার্ল হোটেল ত্যাগ করেন বলে হোটেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
শহরে পৌঁছে কলাতলীতে একটি রেস্টুরেন্টে মধ্যাহ্নভোজের পর বিকেল ৩টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে অবস্থিত 'প্রাসাদ প্যারাডাইজ' হোটেলে উঠেছেন তারা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, তারা ওই হোটেলেই আছেন এবং স্থানীয় কিছু এনসিপি সংগঠক তাদের সাথে সাক্ষাৎও করেছেন। হোটেল কর্তৃপক্ষ ও এনসিপি কর্মীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ছবি না তুলতে অনুরোধ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক এনসিপি নেতা বলেন, হাসনাত ভাই সারজিস ভাইদের সাথে আলাপে বিভিন্ন গুজবের কারণে তাদের খুবই বিব্রত মনে হলো। এটি ব্যক্তিগত সফর বলেই মনে হয়েছে।
এনসিপির ৫ নেতারা হলেন- মুখ্য সমন্বয়ক নাসীর উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ এবং তার স্ত্রী দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণের পর মাইক্রোবাস যোগে উখিয়ার ইনানীতে যান তারা। এসময় সারজিসের স্ত্রীও সাথে ছিলেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির দিনে সেই আন্দোলনের পরিচিত মুখদের আকস্মিক এই সফর ঘিরে আলোচনার তৈরি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটে, 'যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ওই ৫ নেতা বৈঠক করতে এসেছেন।
পরে জানা যায়, এই গুজবের কোনো ভিত্তি নেই এবং পিটার হাস ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। এদিকে, বিকেলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর পক্ষ থেকে দলের রাজনৈতিক পর্ষদকে না জানিয়ে কক্সবাজার সফরে আসা পাঁচ নেতাকে 'কারণ দর্শানোর নোটিশ' পাঠানো হয়েছে ।
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত সেই বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেনের কাছে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে নেতাদের লিখিত বক্তব্যে ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
এই নোটিশের জবাব দিতে হলে আগামীকাল দুপুরের আগে নোটিশপ্রাপ্তদের ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও তারা আসলে কবে কক্সবাজার ত্যাগ করছেন সেই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য মিলেনি।